Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Wigete

গ্যাস অম্বলে ভুগছেন ? পেটের সমস্ত গ্যাস বের করুন ৩মিনিটের মধ্যেই ৪টি ঘরোয়া উপায়ে।

  পেটে গ্যাস এসিডিটি বা হজমের কোন গন্ডগোল হলে যারা একটা ওষুধ খেয়ে থাকেন আজকের আর্টিকেলটি তারা অবশ্যই মন দিয়ে দেখবেন। 

কারণ এই আর্টিকেলে জানবো এসব ঔষধ না খেয়ে চারটি ভেষজ বা প্রাকৃতিক ঔষধ এর কথা।  


এই চারটি প্রাকৃতিক ভেষজ ঔষধের যেকোনো একটি খেলেই হজমের গন্ডগোল বা গ্যাস অ্যাসিডিটি বদহজম তিন মিনিটের মধ্যেই দূর হবে। গ্যাস বেরিয়ে যাবে এবং পেটের সব অস্বস্তি চলে যাবে। 


অনেকেই আছেন যারা দীর্ঘদিন যাবৎ গ্যাস্টিকের ওষুধ খেয়ে চলছেন উল্টোপাল্টা খাওয়া-দাওয়া বা পেট একটু ফেপে যাওয়া, বুকে অস্বস্তি, পেট একটু ভারী হওয়া কখনো টক ঢেকুর বা বুকে একটু ব্যথা চাপ এজন্য গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার একটা প্রবণতা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়। 


আবার আলসারের ওষুধ ও কেউ নিয়মিত খেয়ে থাকেন। এসব ওষুধ খেলে শরীরে বেশকিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। 




একটানা যদি ওমিপ্রাজল ওষুধ খাওয়া হয় তাহলে অস্টিওপোরেসিস বা হাড় খয়ের ঝুঁকি থাকে। 

গ্যাস অম্বলে ভুগছেন ? পেটের সমস্ত গ্যাস বের করুন ৩মিনিটের মধ্যেই ৪টি ঘরোয়া  উপায়ে।

অনেকেই হয়তো জানছেনই না যে কেন তাদের হাড় ক্ষয় হচ্ছে, হাড়-জয়েন্টের ব্যথা দিনদিনই বাড়ছে। জেনে রাখবেন আপনার গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার জন্যই ঘটছে এমন সব ঘটনা। 


আবার এইসব কারণে হতে পারে ডায়রিয়া। দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের ওষুধ খাচ্ছেন কিন্তু ডায়রিয়ার সমস্যা যাচ্ছেনা, থেকে থেকেই পেট খারাপ হচ্ছে। 


পেট খারাপ আমাশয় এই ধরনের বিষয়ে যারা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তারা আজ থেকেই গ্যাসের ওষুধ খাওয়া একদম বন্ধ করে দেবেন। 

যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষার ধাত আছে তারা কখনই এই ওষুধ খাবেন না। এই ওষুধ খেলে কনস্টিপেশন আরো বেড়ে যাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেবে। 

আবার রক্তের ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের অভাব ঘটবে। এসব কারণেই শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগ দেখা দিবে। 


অ্যান্টাসিড যারা নিয়মিত খান তাদের কিডনির পাথরের ঝুঁকি বাড়ে। বয়স্ক ও হৃদরোগের যারা আক্রান্ত তাদের জন্য এ ম্যাঙ্গাসিয়াম সমৃদ্ধ অ্যান্টাসিড একদম ভালো নয়। 


তাহলে কি করবেন?

যাদের গ্যাস এসিডিটি হচ্ছে বদহজম, টক ঢেকুর, পেটে অস্বস্তি তারা কীভাবে দূর করবেন এই রোগ। 

তাদের জন্যই চারটি ভেষজ বা প্রাকৃতিক উপাদানের নাম বলব। এই চারটি উপাদানের যেকোনো একটি শুধুমাত্র সঠিকভাবে অর্থাৎ সঠিক পরিমাণে এবং সময়ে গ্রহণ করুন তাহলেই এই সকল রোগ দূর হবে। 


প্রথম যে উপাদানের কথাটি বলবো সেটা হল 

লবঙ্গ।

লবঙ্গ

হঠাৎ করেই গ্যাস এসিডিটি হলে দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ খুব ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানি পান করুন।  


আর যাদের প্রাই এই রকম সমস্যা হচ্ছে বা গ্যাস এসিডিটি হচ্ছে যে কোন খাবার খেলে পেটে গন্ডগোল হচ্ছে তারা রোজ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ২টি লবঙ্গ খুব ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানি পান করে ঘুমাতে যান সকালে উঠে দেখবেন এই ধরনের কোন সমস্যা আর থাকছে না। 


যাদের এই রকম সমস্যার দীর্ঘদিন থেকে রয়েছে অর্থাৎ এই গ্যাস এসিডিটি  বদহজম সমস্যাটা ক্রমিক হয়ে গেছে তারা এক টানা ২১ দিন এভাবে লবঙ্গ সেবন করুন। 


লবঙ্গ খাওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে লবঙ্গের ফুলটি অবশ্যই থাকে। লবঙ্গের  মাথায় যে ছোট্ট ফুলটি রয়েছে সেই ফুলটি যদি না থাকে তাহলে লবঙ্গ খাওয়ার ৯০ ভাগ গুনই আপনি পাবেন না। 


গ্যাস এসিডিটির কারণে যাদের বমি হয় বা যেকোনো জার্নিতে যাদের বমির সমস্যা রয়েছে তারা একটি লবঙ্গ মুখে রাখুন অল্প অল্প চিবিয়ে রসটা গ্রহণ করতে থাকুন তাহলে দেখবেন বমি বমি ভাব একদম দূর হয়ে যাবে। 


তবে শুধুমাত্র ছোট শিশুদের এই লবঙ্গ এইভাবে খাওয়া যাবেনা। সরাসরি লবঙ্গ খেতে হলে বয়স ৫ বছর পূর্ণ হতে হবে। 

গ্যাস এসিডিটির ঔষধ খাওয়ার কারণে যেখানে আপনার অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় বা হাড়-জয়েন্টের ব্যাথার মত রোগ হতো সেখানে লবঙ্গ খাওয়ার কারণে এই রক্ত দূর হবে পাশাপাশি হাড় অনেক বেশী মজবুত হবে।


 হাড়ের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা একদম দূর হয়ে যাবে, হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি দাঁতের ব্যাথা দূর হবে। 


এমনকি যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের রক্তে সুগারের মাত্রা একদম নিয়ন্ত্রণে আসবে। কারণ লবঙ্গ ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। 


এই উপাদানটি একইসাথে জীবানুনাশক এবং বেদনানাশক তাই শরীরের সব ধরনের ব্যথা দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীর থেকে সকল রকম জীবাণু বা ভাইরাস বিদায় নেবে। তাই অবশ্যই গ্যাস এসিডিটি হলে লবঙ্গ আপনার তালিকায় রাখুন।


আরো যে তিনটি উপাদানের কথা বলব সেই গুলোর নাম ও কার্য গুনাগুন জানতে অবশ্যই সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে থাকুন 



২য় উপাদানটি জিরা 

যেটা আমরা মসলা হিসেবে রান্নায় খেয়ে থাকি। শুধুমাত্র মসলা হিসেবে যে পদ্ধতিতে আমরা রান্না করছি এই পদ্ধতিতে ব্যবহারের কারণে এর সকল রকম গুণ উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু জিরার এমন আশ্চর্য গুণ রয়েছে যে শরীর থেকে ২৪ টিরও বেশি রোগ দূর করতে পারে। 


আজ শুধু আমরা গ্যাস অ্যাসিডিটি দূর করতে জিরার ব্যবহার জানবো। এজন্য জিরা কাঁচা অথবা গুড়ো দুইভাবে ব্যবহার করা যাবে। 


যদি গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে চান তাহলে জিরা ভালো করে ধুয়ে মছমচে করে রোদে শুকিয়ে যারে ভরে রাখুন অথবা এটা সাথে সাথে গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারেন। এয়ারটাইট বক্সে রাখলে এই জিরার গুঁড়ো ফ্রিজে না রেখেও ১৫ দিন ব্যবহার করতে পারবেন। 


গ্যাস এসিডিটির সমস্যা যদি হঠাৎ করে হয়ে থাকে তাহলে হাফ চা চামচ জিরা গুঁড়ো এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে গুলিয়ে সাথে সাথে খেয়ে নিন কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখবেন গ্যাস এসিডিটি পেটের সকল অস্বস্তি দূর হয়ে গেছে। 


আর যাদের দীর্ঘদিন ধরে এমন সমস্যা রয়েছে বা প্রায়ই গ্যাস অ্যাসিডিটিতে ভুগছেন তারা কাঁচা জিরা সরাসরি ১ চা-চামচ এক গ্লাস নরমাল পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। 


সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে উষ্ণ পানি পান করার আধা ঘন্টা পরে এই জিরার পানি পান করুন। 


জিরা ছেকে খেয়ে নিতে পারেন অথবা আপনি পানিটুকু পান করে জিরাটা চিবিয়েও খেয়ে নিতে পারেন। 


যেভাবেই খান না কেন  জিরা খাওয়া মাত্রই পেটের সকল অস্বস্তি ডায়রিয়া, আমাশয় এর মত রোগ দূর হয়ে যাবে। 


কারণ জিরা শরীরে কোন জীবাণু টিকতে দেয় না। শুধুমাত্র এই বিষয়টি মনে রাখবেন যে জিরা কোন ভাবেই ভেজে গুঁড়া করা চলবে না রোদে মচমচে করে শুকিয়ে গুড়ো করে নিতে হবে। 


তৃতীয় উপাদান জোয়ান। 

এই জোয়ান অনেকেই চিনেন না। অনেকেই আছেন যে জোয়ান দানা তারা চিনতে পারছেন না। কোনো ব্যাপার না। শুধুমাত্র বাজারে মসলার দোকানে গিয়ে বলুন জোয়ান কিনতে চান। 


এই জোয়ান বা আজোয়ান অন্ত্রের যেকোনো সমস্যা দূর করতে পারে। গ্যাস, এসিডিটি, অম্লতা, পেট ব্যথা, বদহজম, টক ঢেকুর এই সকল সমস্যা দূর করতে খুব দ্রুত কাজ করে এই উপাদান বা এই মসলাটি। 


এর মধ্যে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ যা পেটের ব্যথা বা গ্যাস এসিডিটি ও বদহজম দূর করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে যারা ডায়রিয়া বা আমাশয় ভুগছেন তাদের এই রোগ দূর করতে পারবে। 


জোয়ান দানা এর আগে বলা আরো দুটি উপাদানের মতোই শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই মসলাটি ও শরীরের বিভিন্ন রোগ দূর করতে পারে। 


একদম হাড়-জয়েন্টর ব্যথা থেকে শুরু করে ঠান্ডা সর্দি-কাশি হাঁপানি সকল রোগেই এর ব্যবহার করা হয়েছে গ্যাস এসিডিটি ও বদহজম পেটের সমস্যায় আপনি কিভাবে জোয়ান দানা খাবেন। 


জোয়ান দানা খুব অল্প পরিমানে খেতে হয় অর্থাৎ চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ জোয়ান দানা খুব ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস উষ্ণ পানি পান করুন। 


আর কিছুনা সাথেসাথেই গ্যাস এসিডিটির সমস্যা দূর হয়ে যাবে কিন্তু এই মসলাটি ও শিশুদের দেওয়া যাবে না। যারা একদম ছোট শিশু আছে তারা এই মসলাটি খাবেনা। 


বয়স ৫ পেরিয়ে গেলে এই মাসলাটা খেতে পারবে। জোয়ান ও ভেজে খাওয়া যাবেনা। বাজার থেকে কিনে এনে খুব ভালো করে ধুয়ে নেবেন। 


কারণ এই মসলাটির মধ্যে ধুলোবালি প্রচুর পরিমাণে থাকে। খুব ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে এয়ারটাইট বক্সে রেখে দিন। 


অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন এইভাবে এবং যখনই পেটে কোন সমস্যা দেখা দেবে তখনই পরিমাণমতো জোয়ান দানা মুখে নিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে নিন। 

আর যাদের দীর্ঘদিন থেকে এমন রোগ রয়েছে তারা দিনে দুইবার করে এই পরিমাণ জোয়ান দানা ভাত খাওয়ার পরপরই ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে নিন এবং আধা ঘন্টা পরে এক গ্লাস উষ্ণ পানি পান করুন। তাহলে আপনার খাওয়া খাবার থেকে কখনোই গ্যাস এসিডিটি ও বদহজম হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।


চতুর্থ উপাদানটি হলো আদা 


আদা কে আমরা সকলেই মসলা হিসেবে খাই। আবার অনেকে আদা চা ও খেয়ে থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে খেতে হবে কাঁচা অর্থাৎ কাঁচা আদা শুধুমাত্র যদি আপনি চিবিয়ে খেতে পারেন বা আদার রস এক-চামচ খেয়ে নিতে পারেন তাহলে পেটের সব ধরনের রোগ দূর করা সম্ভব। 


হঠাৎ করেই পেটের গ্যাস, এসিডিটি, টক ঢেকুর হচ্ছে, এক ইঞ্চি কাচা আদা কেটে ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে নিন। যারা একটু লবণ দিয়ে খেতে চান তারা বাজারে সাদা লবণ না খেয়ে পিংক সল্ট বা সন্ধক লবন সহযোগে চিবিয়ে খেয়ে নিন। 


কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্যাস এসিডিটি দূর হয়ে যাবে আবার এর জন্য বিট লবণ খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু বিট লবণ একটানা বেশি দিন খাবেন না। 


বদহজম থেকে একটানা অনেক সময় ডায়রিয়া হয়ে যায়। ডায়রিয়া হলে এক চামচ আদার রস এবং সমপরিমাণ তুলসী পাতার রস একসাথে খাওয়ার আধাঘন্টা আগে দিনে তিনবার খাবেন একদিনের মধ্যে ডায়রিয়া ভালো হয়ে যাবে। 


এমনকি পুরাতন আমাশয় এই পদ্ধতিতে ভালো করতে পারবেন। আদাও এমন একটি ভেষজ ঔষধ যার দ্বারা ৪০ টির ও বেশী ছোট বড় রোগ দূর করতে পারে। 

যে চারটি ভেষজ উপাদানের কথা আপনাদের বলেছি,  এই চারটি উপাদান তাৎক্ষণিকভাবে পেটের গ্যাস এসিডিটি দূর করতে পারবে। 


এজন্য যেকোনো একটি উপাদান গ্রহণ করলেই হবে কিন্তু আপনার সমস্যা যদি দীর্ঘদিনের হয়ে থাকে আপনি অনেকদিন ধরেই এই রোগে ভুগছেন এমনটা হয় তাহলে এই চারটি উপাদানের নির্দিষ্ট সময়ে সঠিকভাবে টানা তিনদিন গ্রহণ করুন তাহলেই এই রোগ একদম চিরদিনের মতো দূর হয়ে যাবে। 


ধন্যবাদ ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর এরকম স্বাস্থ্য বিষয় সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আমাদের সাথেই থাকুন। 


কারন আমরা নিয়মিত এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস আপনাদের উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছি। সকলকে আরো একবার ধন্যবাদ।

আরো জানুন :





Post a Comment

0 Comments