Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Wigete

থাইরয়েড কি ধরনের রোগ? থাইরয়েড রোগের কারন, লক্ষন ও প্রতিকার।

 থাইরয়েড রোগের কারন লক্ষন ও প্রতিকার


থাইরয়েড কি ধরনের রোগ? থাইরয়েড রোগের কারন, লক্ষন ও প্রতিকার।


আপনি কি থাইরয়েড রোগে ভুগছেন তাহলে জেনে নিন এর কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার এবং ডায়েট কি কি হতে পারে। একটু শান্তভাবে মন দিয়ে যদি পুরো লেখাটি আপনি পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন যে থাইরয়েড এর লক্ষন বা কি কারনে থাইরয়েড  হয়ে থাকে।

থাইরয়েড প্রতিকারের জন্য কি কি কি খাবার বাদ দেওয়া উচিত বা কি কি খাবার গ্রহণ করা উচিত সুপার ফুড হিসাবে এবং কি করলে বা কি ভাবে জীবন যাপন করলে থাইরয়েডের সমস্যা এড়ানো যাবে কিংবা এর ক্ষতিকর প্রভাব কমানো যাবে। ( থাইরয়েড রোগের লক্ষণ ) 


আমাদের গলার শ্বাস নালীর সামনের দিকে অবস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থিটি একটি প্রজাপতি আকারের হয়। যা থেকে থাইরয়েড হরমোন তৈরি হয়। থাইরয়েড হরমোন দুই প্রকার t3 এবং t4। আমাদের শরীরে অসংখ্য বিপাকিয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে থাইরয়েডের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ। 

যেমন বয়সন্ধির লক্ষণ, শিশুর বুদ্ধির বিকাশ, বেড়ে ওঠা, বিপাকক্রিয়া, মহিলাদের গর্ভধারণের সময় জটিলতা, মহিলাদের মাসিক ঋতুচক্র ইত্যাদি কাজ করে। আমাদের শরীরে রক্ত একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় থাইরয়েড হরমোন থাকে। কখনো এই হরমোন বেড়ে গেলে বা কমে গেলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ( থাইরয়েড টেস্ট রিপোর্ট ) 


থাইরয়েডে কি কি রোগ হতে পারে?

হাইপোথাইরয়েডিজম, হাইপারথাইরিজম, গয়েটর, নডিউল, থাইরয়েড ক্যান্সার, গ্রাবেজ ডিজিজ। 


হাইপোথাইরয়েডিজম কী?

থাইরয়েড গ্রন্থি যদি প্রয়োজনের তুলনায় রক্তে কম হরমোন উৎপন্ন করে তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে।

হাইপোথাইরয়েডিজম হলে কি কি সমস্যা হয় বা কি কি লক্ষণ দেখলে বুঝতে পারবেন যে হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত হয়েছেন।

দূর্বলতা, ডিপ্রেশন, মহিলাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত  মাসিক রক্তপাত হয়, ওজন বৃদ্ধি, অবসাদ, পা ফুলে যাওয়া গলার স্বর পাল্টে যাওয়া, মনে রাখার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া এইসব। ( থাইরয়েড টেস্ট খরচ )


আরো যে যে সমস্যাগুলো আপনার জন্য জানা প্রয়োজন:-  



হাইপার থাইরয়েডিজম কী?

হাইপারথাইরয়েডিজম থাইরয়েড গ্রন্থি যদি প্রয়োজনের তুলনায় রক্তে বেশি হরমোন উৎপন্ন করে তাকে হাইপার থাইরয়েডিজম বলে।

হাইপার থাইরয়েডিজম হলে কি কি সমস্যা দেখা দেয় বা কি লক্ষণ হলে বুঝতে পারবেন যে হাইপার থাইরয়েডিজম হয়েছে।

ওজন কমে যাওয়া, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, বুকে কম্পন সৃষ্টি হয় অতিরিক্ত ঘাম, গরম সহ্য করতে না পারা, হজমের সমস্যা, দুশ্চিন্তা, উদবেগ বেড়ে যাওয়া, প্রচন্ড খিদে পাওয়া, অস্থিরতা অনুভব করা। এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার হয় যে 

হাইপোথাইরয়েডিজম শীত সহ্য হয় না এবং হাইপার থাইরয়েডিজমে গরমটা সহ্য হয়না। ( থাইরয়েড সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় ) 

 

যে কোনো থাইরয়েডে হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপার থাইরয়েডিজম তাপমাত্র খুব সমস্যা করে। শরীরের কখনো গরম লাগে বা কখনো শীত লাগে এবং হাইপোথাইরয়েডিজম হলে সাধারণত মুখ ফুলে যায় এবং শরীরের নিচের অংশ কোমর থেকে পা পর্যন্ত ফুলে যায়।


নডিউল
থাইরয়েড গ্রন্থিতে টিউমারও হতে পারে যাকে নডিউল বলে। এক্ষেত্রে এই টিউমার সংখ্যা এক বা একাধিক হতে পারে এবং বিভিন্ন আকারের হতে পারে।


থাইরয়েড ক্যান্সার

থাইরয়েড ক্যান্সার তরুন বা পুরুষের তুলনায় মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে।


গয়েটার

থাইরয়েগ গ্রন্থিটি হরমোন তৈরির জন্য  আয়োডিনের প্রয়োজন পড়ে। কোনো কারনে এ গ্রন্থিটি আয়োডিনের অভাবে হরমোন তৈরি করতে না পারলে তবুও চেষ্টা করে শরীরের প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি করতে। হরমোনের মাত্রা স্বভাবিক রাখতে যখন ব্যর্থ হয় তখন সেটি ফুলে যায় বা বড় হয়ে যায়। ( থাইরয়েড কমানোর উপায় ) 

এই গ্রন্থিটি ফুলে গেলে বা বড় হয়ে গেলে গলার সামনের দিকটাও আমরা দেখি যে অনেকের ফুলে যায়। তাকে সাধারণ ভাষায় গলগন্ড বলা হয় এবং বইয়ের ভাষায় বা ডাক্তারি ভাষায় একে কয়টার বলে।


থাইরয়েডের সমস্যা ধরা পড়লে ওষুধ তো খাবেনই সেই সঙ্গে খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত খানিকটা বিধিনিষেধ। কারণে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য কে নষ্ট করে দেয়। যার ফলে ওষুধ খেলেও কোনো কাজ হয় না। ( থাইরয়েড কি বংশগত রোগ ) 


জেনে নিন থাইরয়েড সমস্যায় কোন কোন খাবার থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন


সয়াবিন

এর মধ্যে প্রথমে বলবো সয়াবিনের কথা। সয়াবিনে থাকা আইসোপ্লাবিন থাইরয়েডের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সয়াবিন খেলে আপনার থাইরয়েড অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত প্রসেসড সয়াবিন এই ক্ষেত্রে উল্লখযোগ্য।


ব্রকলি ফুলকপি

থাইরয়েড থাকলে ব্রকলি এবং ফুলকপি না খাওয়াই ভালো। কারন  ব্রকলি এবং ফুলকপিতে থাকা ফাইবার এবং অনান্য নিউট্রিসিয়ান্স থাইরয়েড হরমোনের সমস্যার কারণ হতে পারে।


ফেট জাতীয় খাবার

ফেট জাতীয় খাবার শরীরে থাইরয়েড হরমোন রিপ্লেসমেন্ট মেডিসিনের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। তাই ঘি, মাখন, মেওনিজ, জাঙ্ক ফুডে থাকা ফেট খেলে তা থাইরয়েড গ্ল্যান্ড এ প্রভাব ফেলে।


মিষ্টিজাতীয় খাবার

মিষ্টি জাতীয় যে কোনো খাবার কিংবা চিনি এই ধরনের খাবার আপনার শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। ফলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই মিষ্টি খেলে কোন পুষ্টি গুনতো শরীরে যায়ই না উল্টে অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করে এবং চিনি বা যেকোনো মিষ্টিজাতীয় খাবার শুধু আমরা মুখের স্বাদের জন্য খেয়ে থাকি। ( থাইরয়েড হলে কি খাওয়া উচিত ) 

আসলে এটা শরীরের কোন উপকারী করে না। তাই যদি মিষ্টিজাতীয় খাবার কিংবা চিনি একদমই বাদ দিয়ে দেই তাহলে থাইরয়েডে মোটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমে যায়।

আরো যে যে সমস্যাগুলো আপনার জন্য জানা প্রয়োজন:-  


এছাড়াও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, মাথা ব্যাথা দূর, পায়ের পেশিতে টান, হার্ট বা হৃদরোগ সমস্যা সহ সকল রোগের সমাধান পেতে এখানে Click করে দেখে আসতে পারেন।   

প্যাকেটজাত খাবার

বর্তমানে প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ার একটা প্রবনতা চোখে পড়ে। কিন্তু প্রসেসড ফুডে ব্যবহার করা হয় প্রিজারভেটিভ, যা থাইরয়েডের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। তাই সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন প্যাকেটজাত খাবার।


কফি

কফিতে থাকা ক্যাফেন থাইরয়েডের রিপ্লেসমেন্ট হরমোন মেডিসিন এর কাজ  বাধা দেয়। শুধু তাই নয় কফি অনেক সময় থাইরয়েডকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। ( থাইরয়েড সমস্যা ও প্রতিকার ) 

তাই যারা নিয়মিত থাইরয়েডের ওষুধ খান তাদের উচিত কফি এড়িয়ে চলা। কিংবা থাইরয়েডের ওষুধ গ্রহনে যেমন অনেকে থাইরস্কিন খেয়ে থাকে। এই ওষুধ গ্রহনের ১ ঘন্টা আগে বা পরে অবশ্যই কফি না খাওয়া উচিত।


সফট ড্রিংকস

মিষ্টির পাশাপাশি সফট ড্রিংকস ও শরীরের জন্য খুবই খারাপ। কারণ এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই বেশি থাকে যা বিপদ ডেকে আনতে পারে।


এবার বলবো থাইরয়েড থাকলে কোন কোন কাজগুলো কখনোই করা উচিত না। বা যে কাজগুলো করলে থাইরয়েড বেড়ে যেতে পারে।

এই রকম ৬ টি কাজের কথা আমি বলব


স্ট্রেচ

থাইরয়েড রোগীদের জন্য স্ট্রেচ বা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। বস্তুত অতিরিক্ত ট্রেচের কারনে থাইরয়েডের সমস্যা বৃদ্ধি বা প্রকাশিত হতে পারে। ট্রেচে ভুগলে শরীরের কার্টিজম হরমোন নিঃসৃত হয় যা থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে হস্তক্ষেপ করে। 


ধূমপান

থাইরয়েড রোগীদের জন্য ধূমপান করা এবং পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শ ভীষন ক্ষতিকর।
সিগারেটের ধোয়ায় সায়নাইট থাকে যা এন্টি থাইরয়েড এজেন্ট রূপে কাজ করে। এই যৌগ্যটি সরাসরি আয়োডিন গ্রহন ও হারমোনের সংশ্লষনে বাধা দেয়। এছাড়াও ধোঁয়া  অন্যান্য উপাদানও থাইরয়েডের কাজের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।


ওষুধ গ্রহনে অবহেলা এবং নিয়মিত চেকাপ না করা

থাইরয়েডের সমস্যা নিরাময়ের জন্য নিয়মিত ওষুধ সেবন করা জরুরি। ভালো অনুভব করলে নিজে নিজে ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া  ঠিক নয়। নিজে নিজে ভুল মাত্রায় ওষুধ গ্রহণ করাও থাইরয়েডের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন TSH ব্লাড টেস্ট নামক রক্ত পরীক্ষাটি বছরে ১ থেকে ২ বার করা উচিত।

সকালে কফির সাথে থাইরক্সিন ট্যাবলেট গ্রহণ করা এই কথাটা কফি খাওয়া যাবে না এ প্রসঙ্গে আমি বলেছিলাম আবারও বলছি থাইরক্সিন ট্যাবলেট সকালে খালি পেটে গ্রহণ করলে ভালোভাবে শোষিত হয়। নাস্তা গ্রহণের ৩০ থেকে ৬০ মিনিট আগে থাইরক্সিন ট্যাবলেট সেবন করুন। তাছাড়া রাতে ঘুমানোর ২ থেকে ৩ ঘন্টা আগে গ্রহণ করতে পারেন এই ওষুধ।


মনে রাখবেন ফাইবার যুক্ত ও দুধের তৈরি খাবারের সাথে প্রভাইটিকের সাথে ক্যালসিয়াম সার্টিফাইড ফ্যাট জুস ক্যালসিয়াম আয়রন বা অন্য কোন খনিজের সাপ্লিমেন্ট এবং কফির মত পানিয়ের সাথে থাইরয়েডের ওষুধ গ্রহণ করা ঠিক না।

সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ১ গ্লাস পানির সাথে এই ওষুধ গ্রহণ করা। একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী এই ওষুধ সেবন করা উচিত।


কাঁচা ক্রসিফেরি সবজি খাওয়া।

অতিরিক্ত কাঁচা ক্রসিফেরি সবজি খাওয়া থাইরয়েডের রোগীদের জন্য খারাপ। বিশেষ করে যাদের আয়োডিনের ঘাটতি আছে তাদের ক্ষেত্রে। এ ধরনের সবজি গুলোতে গ্লুকোজ এনারেল নামক যৌগ থাকে যা থাইরয়েড হরমোন সংশ্লেষণে হস্তক্ষেপ করে।

ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, পালং শাখ এবং মিষ্টি আলু এই ধরণের কয়েকটি সবজি যা কাঁচা খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া ভিষণ ভাবে জরুরি থাইরয়েড রোগীদের ক্ষেত্রে।


সয়া খাদ্য

প্রথমেই আমি বলেছি যে সয়া জাতীয় যে কোনো খাদ্য থাইরয়েড এর জন্য ভিষণ ক্ষতিকর এবং কোন কাজগুলো করা যাবে না সে ক্ষেত্রেও এই নামটি আবারও আসছে। যদি আপনার থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তাহলে ক্রুসিফেরি পরিবারের সবজির মতো সয়া খাদ্য খওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

সয়া পন্যে ফাইটোসট্রুজেন এবং গয়েকট্রুজেনিক উপাদান থাকে যা থাইরয়েডের কাজে এবং থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোন শোষণে হস্তক্ষেপ করে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা যাদের আছে বা যাদের ডাক্তার থাইরয়েড এর জন্য ওষুধ গ্রহণের কথা বলেছেন তারা সয়া সাপ্লিমেন্ট, জেনিটেকেলি ইঞ্জিনিয়ার সয়া খাদ্য, সয়া চিজ, সয়াবিন তেল, সয়া আইসক্রিম, সয়া বার্গার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।


এবার বলবো কিছু সুপার ফুডের কথা।


হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যা মোকাবেলায় কিছু সুপার ফুডের কথা জেনে নিন।

এই রোগের চিকিৎসায় সাধারনত
বিভিন্ন রকমের সিনথেটিক হরমোনের দেওয়া হয় যার কিছু ক্ষতিকর পার্শপ্রতিক্রিয়া কিন্তু আছে।

কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকে আমি এমন কিছু খাবারের নাম শেয়ার করব আপনাকে, যা আপনাকে থাইরয়েড হরমোনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।

তার মধ্যে প্রথমেই বলছি,


আয়োডিন যুক্ত খাবার

আয়োডিনের ঘাটতি মেটাতে আমরা আয়োডিন যুক্ত লবন খেয়ে থাকি। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়।
চিকিৎসকেরা লবন পরিহার করতে বলে থাকেন।

তাই লবনের পরিবর্তে সামুদ্রিক মাছ যেমন ল্যইটা, কোরাল প্রভৃতি খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া চিংড়ি ও চুনামাছে প্রচুর পরিমানে আয়োডিন থাকে।

সেদ্ধ ডিম, কলা, দানা জাতীয় শস্য ও শাখ পাতাতেও প্রচুর পরিমানে আয়োডিন থাকে। তাই এই সব খাদ্য তালিকা থেকে একদম বাদ দেওয়া যাবে না।


নারিকেল তেল

নারিকেল তেলের মধ্যে রয়েছে মিডিয়ামচেন ফ্যাটি এসিড। এটি থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি পূরন করে। নারকেল তেল থাইরয়েড  হরমোন বৃদ্ধি করে, খাবার দ্রুত পরিপাকে সাহায্য করে এবং এতে বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অবসাদগ্রস্থতা দূর করে। নারকেল তেলেকে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন তবে প্রতিদিন তিন চামচের বেশি কিন্তু নারকেল তেল খাওয়া যাবে না।  


সামুদ্রিক শৈবাল

সামুদ্রিক শৈবালের নামটি অপরিচিত শুনালেও আমাদের দেশেও সামুদ্রিক শৈবালের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অধিকাংশ শৈবালে সমুদ্রের পানির চেয়েও বেশি আয়োডিন রয়েছে যা ওষুধ বা লবনের বড় বিকল্প হতে পারে।


উচ্চমানের টাইরোসিন আমিষ যুক্ত খাবার

টাইরোসিন দরকার হয় থাইরয়েড হরমোন  তৈরিতে। উচ্চমানের টাইরোসিন প্রোটিন পেতে হলে খেতে হবে মাংস। মুরগির মাংস, ডিম, মাছ, কলা ও মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে প্রচুর টাইরোসিন আছে।

গরু অথবা মুরগী স্টক। আমরা রান্নাতে Beef বা Chaken যে স্টকটি ব্যবহার করি তাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামনিয় এসিডএমরাসিন থাকে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে। তাছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মাংসপেশির ব্যাথাও দূর করে। 


ফলমূল ও সবজি

ফলমূল ও সবজিতে থাকে ভিটামিন মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রদাহ কমায় তাছাড়া ফলমূল ও শাকসবজি পুষ্টিকর হওয়ায় আমাদের শরীরে হরমোনের ব্যালাঞ্চ করে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এমনকি হার্টের সুরক্ষায় এর গুরুত্ব অপরিসীম।


বিশুদ্ধ পানি

পানি শরীরকে হাইড্রটেড রাখে এবং পরিপাক ক্রিয়া সচল রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য শরীরের দুর্বলতা দূর করতে এমনকি সুগারের প্রতি আসক্তি কমাতে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর কমপক্ষে ১ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।

এই হচ্ছে সুপার ফুড যা খেলে থাইরয়েডের সাপ্লিমেট যেটা আপনি গ্রহণ করছেন কিংবা যে ওষুধ খাচ্ছেন তার পাশাপাশি এই আয়োডিন যুক্ত খাবার খেলে ধীরে ধীরে থাইরয়েডের সমস্যা একদম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।


তবে অবশ্যই থাইরয়েড হলে চিনি যুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত এবং এক্ষেত্রে আরেকটি কথা বলা দরকার সেটা হচ্ছে রিফাইন্ড ময়দা। রিফাইন্ড ময়দা, মিহি ময়দা, ময়দা জাতীয় খাবার শরীরের হরমোন লেভেল এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং ওজন বাড়ায়।

সেজন্য এ খাবারটি অবশ্যই এড়িয়ে যাবেন এবং কোনো কোনো চিকিৎসকের মতে পাস্তুরিত দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবারও থাইরয়েড রোগীদের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। সেই জন্য থাইরয়েড হলে জেনে বুঝে আপনার কোন খাবারটি শরীরের জন্য ভালো হবে সেটি গ্রহণ করা উচিত এবং ক্ষতিকর খাবার অবশ্যই বর্জন করা উচিত।


সবাই বলে থাকে থাইরয়েড একবার হলে তা আর কখনো সারে না। কিন্তু অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে অবশ্যই সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব। তবে থাইরয়েডের এইসব খাবার এবং চিকিৎসার পাশাপাশি অবশ্যই শারীরিকভাবে ব্যায়াম করাটাও খুবই দরকারী। ব্যায়াম আপনার শরীরকে সুস্থ সবল এবং সচল রাখতে সাহায্য করবে।


ধন্যবাদ ভাল থাকবেন এই লেখাটি নিশ্চয়ই যাদের থাইরয়েড আছে তাদের অনেক উপকারে লাগবে এবং যে সব বন্ধুদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তাদের কাছে এই লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি। কারণ এই জটিল সমস্যায় ভুগে থাকেন তারাই শুধুমাত্র জানেন এর প্রভাব কতটা ভয়ঙ্কর। আবারো ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সবাই।

আরো জানুন :


Post a Comment

1 Comments

  1. এই তথ্যসমৃদ্ধ লেখা গুলোর জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

    ReplyDelete